জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক : রাজধানীর ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিইএ) এর কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন জিটুর উপস্থিতি এবং তাঁর কর্মকাণ্ড ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন এবং দৃশ্যমান কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাড়াই "টেলিলিংক গ্রুপ" নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে তিনি দুটি পত্রিকার মালিক হয়েছেন এবং বর্তমানে এফবিসিসিআই নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা? : সম্প্রতি বিইএ ভবনে তারাবির নামাজ ও ইফতারের আয়োজনের আড়ালে নিজামউদ্দিন জিটু প্রতিষ্ঠানটির নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি সংগঠনের কার্যক্রম পরিদর্শন করে প্রশংসা করলেও, বিশ্লেষকরা মনে করছেন এটি নিছক লোক দেখানো পদক্ষেপ। মূলত, আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যেই তিনি সংগঠনটিকে ব্যবহার করতে চান।
গোপন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ইতোমধ্যে "মোবাইল ফোন অ্যাসোসিয়েশন" নামে একটি নতুন সংগঠন গড়ে তুলেছেন, যা এফবিসিসিআই নির্বাচনে বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এই সংগঠনকে সামনে রেখে তিনি নির্বাচনের জন্য অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
নিজামউদ্দিন জিটুর ব্যবসায়িক পরিচয় বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। দৃশ্যমান কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাড়াই তিনি একাধিক প্রতিষ্ঠান এবং সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন। বিভিন্ন মহলে তিনি রাজনৈতিক লবিং ও ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য পরিচিত।
বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য গঠিত হলেও, কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে সংগঠনকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এমন প্রবণতা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে এবং সদস্যদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।
বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর স্বচ্ছতা ও কার্যক্রমের স্বার্থে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, নির্বাচনের আগে এ ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত কর্মকাণ্ডগুলোর বিষয়ে তদন্ত করা দরকার, যাতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৃত ব্যবসায়ীদের হাতে থাকে এবং কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এগুলোকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করতে না পারে।
জানা গেছে, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটিতে আছেন। ২০২০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য । নোয়াখালীর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সাবেক সভাপতি, চৌমুহনী সরকারি এস.এ কলেজ শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সাবেক কার্যকরি সদস্য ছিলেন। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ন সম্পাদক ও শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগ এর সদস্য হিসেবে আছেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জোনায়েদ মানসুর
প্রকাশক কর্তৃক ৮০/১ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২৯২, ভূঁইয়াপাড়া রোড, খিলগাঁও, ঢাকা-১২১৯।
মোবাইল: ০১৭৮৯৪২১৪৪৪, ০১৯১৩৫৫৫৩৭১
ইমেইল : infobanglargourab@gmail.com, pressjonaed@gmail.com (বিজ্ঞাপন),
ওয়েবসাইট : www.banglargourab.com
© All rights reserved 2025 দৈনিক বাংলার গৌরব