শিকদার মুরাদ : তেহরান ও এর আশপাশে ইসরায়েল-ইরান সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একদিকে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির ঘনঘটা, অন্যদিকে ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সুরক্ষায় দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে বর্তমানে শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। পাশাপাশি দেশটিতে ব্যবসায়িক ও কর্মসংস্থানের সূত্রে বহু বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা ও অবস্থান বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজ ও অফিসিয়াল ওয়েবসাইটও দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় রয়েছে। এতে ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা প্রয়োজনীয় তথ্য বা সহায়তা চেয়ে কোনো সাড়া পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। এমনকি হটলাইন কিংবা জরুরি যোগাযোগের কোনো বিকল্প ব্যবস্থাও চালু করা হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ বা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় প্রবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। অথচ ইরানের মতো ভূ-রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর একটি দেশে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও সরকারের নিরবতা উদ্বেগজনক।
বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, দ্রুত তেহরানে বাংলাদেশ মিশনের কার্যক্রম সক্রিয় করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের তালিকা তৈরি, হেল্পলাইন চালু এবং প্রয়োজনে আশ্রয় ও পুনর্বাসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীল ও মানবিক উদ্যোগই হতে পারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তার বড় ভরসা।