1. pressjonaed@gmail.com : Jonaed Mansur : Jonaed Mansur
  2. admin@banglargourab.com : banglarg :
  3. infobanglargourab@gmail.com : Rumi Jonaed : Rumi Jonaed
জীবন বীমা সেক্টরের মানের কারণেও অবদান কমছে : বিএম ইউসুফ আলী - দৈনিক বাংলার গৌরব
১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| বৃহস্পতিবার| রাত ১১:১৭|

জীবন বীমা সেক্টরের মানের কারণেও অবদান কমছে : বিএম ইউসুফ আলী

নিউজ সোর্স
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ২০০ টাইম ভিউ
বিমাবিদ বিএম ইউসুফ আলী

বিজি ডেস্ক
ব্যাংক খাতের মতো বীমা খাতেও মানিলন্ডারিংয়ের আশঙ্কা রয়েছে, তবে সুযোগ কম। মানিলন্ডারিংয়ের ফলে বীমাখাতে প্রধান যে সমস্যা হচ্ছে তা হলো কোম্পানির টাকা ড্রেনেজ হয়ে যায়। এতে গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা সময়মতো বীমা দাবি পান না, ফলে বীমা নিয়ে ইমেজ সংকট তৈরি হয়। আবার প্রতিষ্ঠান মুনাফার ধারা অব্যাহত রাখতে না পারায় শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তারা প্রাপ্য লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হন। অবশ্য বীমাখাতে যেহেতু বড় ধরনের লেনদেন ও চুক্তি হয় না, তাই এখানে সে ধরনের সুযোগ কম। অর্থাৎ এক্ষেত্রে অনিয়ম প্রতিরোধের প্রধান উপায় হচ্ছে সেগুলো ঢোকার পথ বন্ধ করা। আমরা যদি সেগুলো বন্ধ করতে না পারি, তাহলে এখানে মানিলন্ডারিংয়ের আশঙ্কা থেকে যায় বলে মনে করছেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বাংলাদেশ ইসুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) সভাপতি বিমাবিদ বিএম ইউসুফ আলী। সম্প্রতি দৈনিক বাংলার গৌরবরে সঙ্গে আলাপে বীমা সংক্রান্ত নানা কথা জানান তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জোনায়েদ মানসুর

বিজি ডেস্ক : দেশের অর্থনীতিতে বীমার অবদান কেমন?
বিএম ইউসুফ আলী : জিডিপিতে বীমার অবদান বর্তমানে ১ শতাংশেরও কম। বীমা শল্পে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬তম। অথচ প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা ১.২%, ভারত ৪.২৫%, থাইল্যান্ডের ৫.৩% এবং মালয়েশিয়ার ৫.৪%। এমনকি ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তান (এআইপি) রিপোর্ট অনুযায়ি পাকিস্তানও (০.৯২%) আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশে কমের কারণ হলো- বীমায় মানুষ সচেতন নয়। জীবন বীমা সেক্টরের মানের কারণেও আমাদের বীমা সেক্টরে অবদান কমছে।

(ছবি: বিমাবিদ বিএম ইউসুফ আলী)

বিজি ডেস্ক : বীমা শিল্পকে এগিয়ে নিতে কি কি সাপোর্ট দরকার?
বিএম ইউসুফ আলী: বীমাকে এগিয়ে নিতে সরকারসহ সব মন্ত্রণালয়েরই সাপোর্ট দরকার। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যবীমায় ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ নামে একটি কর্মসূচি চলছে। বিদেশে যে শ্রমিক যাচ্ছে তাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ বীমা চালু করা হয়েছে। এরকমভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও আবহাওয়া মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পর্যটন মন্ত্রণালয়, রেল মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় যদি এগিয়ে আসলে এ শিল্প অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাপোর্ট বলে প্রথমেই আসবে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের ভূমিকার কথা। তাদের বেশ অবদান রয়েছে। যেমন: বাংলাদেশ ব্যাংক, আইডিআরএ, এসইসি, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)।

বিজি ডেস্ক : বীমা সেক্টরে কাজ করতে আইডিআরএ কোন সংকটে ভূগছে বলে আপনি মনে করেন?
বিএম ইউসুফ আলী : আমাদের যে আইন ও নীতিমালা রয়েছে তা বাস্তবায়নের উপর জোর দিতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এগুলো যথাযথভাবে মনিটরিং করার জন্য যে সংখ্যক লোকবল দরকার তা আইডিআরএ’র নেই। এখানে ৮১টি কোম্পানির জন্য আইডিআরএ’র ৮১ জন লোকও বলা যায় নেই। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫৭টি ব্যাংক মনিটরিং করার জন্য সাড়ে ৭ হাজার জনবল রয়েছে। তাই আইডিআরএকে শক্তিশালী করতে জনবল দরকার। ইতোমধ্যে আইডিআরএ’র অর্গানোগ্রাম পাশ হয়েছে। এই অর্গানোগ্রামে ১৫৫ জনবল রয়েছে। অনতিবিলম্বে এই জনবল নিয়োগ দেয়া দরকার। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থায় দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব তৈরিতে কিছু ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করছি।

বিজি ডেস্ক : অভিযোগ আছে, বীমা শিল্পের সিইওদের বোর্ডের চাপে থাকতে হয়। কারণগুলো যদি বলতেন?
বিএম ইউসুফ আলী : সিইওরা তো বোর্ডের অধীনে চাকরি করেন। তাদেরকে বোর্ডের চাপেই তটস্থ থাকতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে যে ব্যাংকগুলো তাদের এমডিদের কিন্তু যখন-তখন চাকরি থেকে অবসায়ন বা টার্মিনেট করা হয় না। কিন্তু ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর সিইওরা যখন-তখন টার্মিনেট হচ্ছে। যেমন-নন লাইফের কমিশন নিয়ে, সেখানে ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দেয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু এই নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে কোনো সিইওর যদি ব্যবসা কমে যায়, তখন তাকে চাকরি হারাতে হয়। অপরদিকে জীবন বীমায় ব্যবসার ক্ষেত্রে একটা টার্গেট থাকে। কোনো কারণে টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হলে তার চাকরিতে সমস্যা হয়। এগুলো একটা সময় ছিলো। উত্তরণের জন্য আমরা সিইওদের সংগঠন বিআইএফ, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা আইডিআরএ এবং কোম্পানিগুলোর সংগঠন বিআইএ’র সাথে বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা করেছি এবং এটা বর্তমানে অনেকটাই সুশৃঙ্খল অবস্থায় চলে এসেছে।

বিজি ডেস্ক : জীবন বীমার পলিসি কী ধরণের। তামাদির হার কেমন ?
বিএম ইউসুফ আলী : জীবন বীমা পলিসি একটি দীর্ঘমেয়াদী পলিসি। দুই তিন বছর পরই এখান থেকে ফল পাওয়ার আশা করা যায় না। আমরা যদি পলিসির তামাদির দিকে লক্ষ্য করি, দেখা যায়, তামাদির হার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। এর মানে হলো ১’শ জন লোক জীবন বীমা করলে দুই তিন বছর পর ৬০ থেকে ৭০ জন লোক পলিসি বন্ধ করে দেয়, প্রিমিয়াম দেয় না। অথচ তামাদি হওয়ার কারণ হলো আমরা তাদের যথাযথভাবে বীমার কল্যাণ বুঝাতে পারিনি। পলিসি তামাদি হওয়ার পেছনেও কমপক্ষে ১৫-২০টি কারণ রয়েছে।

বিজি ডেস্ক : এতো বললেন জীবন বীমার কথা। দেশে নন-লাইফের ব্যবসা কেমন?
বিএম ইউসুফ আলী : দেশে নন-লাইফের বেশি বাড়েনি। এখানে অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমাদের বীমা সেক্টরে যারা আছে, সকল বীমা কোম্পানি, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাডেমি, সরকারসহ সকলের কিছু করার সুযোগ আছে। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, এই খাতে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি হলো ৫ শতাংশ। এটা কখনো ৭ শতাংশ, আবার কখনো সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ পর্যন্ত হচ্ছে, এর বেশি বাড়ছে না।

বিজি ডেস্ক : পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স সম্পর্কে কিছু বলুন?
বিএম ইউসুফ আলী : পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স দেশের বীমা খাতের শীর্ষস্থানীয় একটি বীমা কোম্পানি, যার সব ধরনের লাভজনক লাইফ বীমা পরিকল্প ও সেবা রয়েছে। কোম্পানিটি ২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং একই বছরে এটির যাত্রা শুরু করে। পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২৫ কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে ৩ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করেছে। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির অনুমোদিত এবং পরিশোধিত মূলধন উভয়ই যথাক্রমে ৫শ’ কোটি এবং ৬০.৪৩ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। এ পর্যন্ত পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৪৫ লাখ গ্রাহকের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। মূলত ব্যতিক্রমী সব প্রকল্প গ্রহণ ও সফল বাস্তবায়নের কারণেই পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স আজ সবার শীর্ষে। পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স নতুন নতুন বীমা পলিসি বিক্রি করছে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মৃত্যুদাবী সময়মতো পরিশোধ করে যাচ্ছে। একারণেই প্রতিষ্ঠার দু’বছরের মাথায় অর্থ্যাৎ ২০০২ সালে পলিসি হোল্ডারদের মধ্যে সর্বপ্রথম বোনাস ঘোষণা করে চমক সৃষ্টি করে পপুলার। অদ্যাবধি ১০টির মতো প্রকল্পের মাধ্যমে কোম্পানিটি সারাদেশে বিমা সেবা প্রদান করছে। ক্রেডিট রিপোর্ট অনুযায়ী পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স AA+ অর্জন করে প্রতিবার। ১০ আগস্ট ২০২৩ সালের কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় জানানো হয় কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যানারে ধাপে ধাপে এগিয়ে এনেছেন মানব কল্যাণে। পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স এ পর্যন্ত ডজন খানেকের বেশিই পেয়েছে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পুরস্কার।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Categories

                       © All rights reserved 2025 দৈনিক বাংলার গৌরব