নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা মাগুরায় শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। আজ তার আরও দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া)) হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, আজ দ্বিতীয়বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দিয়ে তার হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনা হয়। তার মস্তিস্ক প্রতিক্রিয়াহীন। তার গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) ৩। মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা হলো জিসিএস। মানুষের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়।
এছাড়া শিশুটির রক্তচাপ ও অক্সিজেন লেভেলও এখন অনেক কম বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায়।
শিশুটি বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকার শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এর আগে বুধবার রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, বুধবার পর্যন্ত সে চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের (হৃদ্যন্ত্রের স্পন্দন বা হার্টবিট বন্ধ হয়ে যাওয়া) শিকার হয়েছে এবং প্রতিবারই সিপিআর প্রদানের মাধ্যমে তাকে স্থিতিশীল করা হয়েছে। এছাড়া, তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস চলছে। বর্তমানে শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ যা আরও নিম্নমুখী হচ্ছে, ফলে আশঙ্কা কাটেনি।
আট বছরের শিশুটি গত ৫ মার্চ বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
ধর্ষণের ঘটনায় চারজনের নামে মামলা করেন শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।