নিজস্ব প্রতিবেদক : দাবি আদায়ে শাহাবাগ চত্বর অবরোধ করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিপেটায় আশেপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছে চাকরি প্রত্যাশী নিবন্ধনকৃত মাধ্যমিক শিক্ষকরা এবং হাইকোর্টের আদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা । দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।
আন্দোলনকারীদের দাবি পুলিশের লাঠিপেটাই ৫০ জন শিক্ষক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। আহতদের মধ্যে ৩০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ আল মমিন জানান,২০০৫ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সারাদেশে ১০ থেকে ১৫ হাজার মাধ্যমিক শিক্ষক নিবন্ধন শেষ করেছে। এক থেকে বারো নিবন্ধনকারী এসব শিক্ষকরা আওয়ামী লীগের সময় চাকরি পায় নি। তৎকালীন এমটিএমসির চেয়ারম্যানের দুর্নীতির কারণে তাদের চাকুরী হয়নি। বরং জাল নিবন্ধন দিয়ে আওয়ামী লীগ অনুসারীদের অনুসারী শিক্ষকদের নিবন্ধন কি তো না হওয়া সত্ত্বেও চাকুরী দেওয়া হয়েছে।
নিবন্ধনকৃতরা চাকরি পাওয়ার আওয়ামী লীগের আমল থেকেই আন্দোলন করে আসছিল। একই দাবিতে তারা বর্তমান সরকারের সময়ে আন্দোলন শুরু করেন। প্রধান উপদেষ্টার সহকারী এসব চাকরি প্রত্যাশীদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তা বাস্তববাদ না হয় তারা আজ ১০ জানুয়ারি শাহবাগে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি দেয়। সকাল ৯ টা থেকে তাদের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু তারা রাস্তা অবরোধ না করে ২ ঘন্টা সময় দিয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। কোন আশ্বাস না পাওয়ায় বেলা ১টায় একটায় সড়ক অবরোধ করে।
আন্দোলনকারীরা জানান, সড়ক অবরোধ করার পর পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর টিয়ার সেল, রাবারবুলেট ছুড়ে। এতে অনেকেই হতাহত হয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীদের মধে প্রাথমিক শিক্ষকরা পুনরায় শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি যাওয়া সড়কটি অবরোধ করেছে। পুলিশ তাদের চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। আন্দোলনকারীরা নারী হওয়ায় বল প্রয়োগ করছে না। আশেপাশে পুরুষ শিক্ষকরা অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনোদুর্ভোগ কমাতে আন্দোলনকারীদের সড়ক চেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। আন্দোলনকারী কথা না শোনায় তাদের বল প্রয়োগ করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে