বাংলার গৌরব ডেস্ক : গত তিনদিনের মতো আজও বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষেই অবস্থান করছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, সবশেষ আপডেট অনুযায়ী, এখানকার দূষণ স্কোর রেকর্ড হয়েছে ২১৯। অর্থাৎ, আজও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ দেশের রাজধানীর বাতাস।
০এদিকে বায়ুমানের দিক থেকে আজ অনেকটাই ভালো অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো। দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় প্রায়ই শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির আজকের অবস্থান ৫ম। শহরটির সবশেষ রেকর্ডকৃত বায়ুমান স্কোর ১৬০। এরপরই ১৫৭ স্কোর নিয়ে ৭ম অবস্থানে আছে নেপালের কাঠমন্ডু। দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশে নেই দক্ষিণ এশিয়ার আর কোন শহর। এমনকি সবশেষ রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকা ব্যতীত বিশ্বের আর কোনো শহরের দূষণ স্কোর ২০০ ছাড়ায়নি আজ।
মূলত, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম-১০ ও পিএম-২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন— প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।