1. pressjonaed@gmail.com : Jonaed Mansur : Jonaed Mansur
  2. admin@banglargourab.com : banglarg :
  3. infobanglargourab@gmail.com : Rumi Jonaed : Rumi Jonaed
ফেব্রুয়ারিতে জনশক্তি রপ্তানি কমেছে ৩৬ শতাংশ - দৈনিক বাংলার গৌরব
১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| বৃহস্পতিবার| বিকাল ৫:১৮|

ফেব্রুয়ারিতে জনশক্তি রপ্তানি কমেছে ৩৬ শতাংশ

জোনায়েদ মানসুর, ঢাকা
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৬ টাইম ভিউ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের শ্রমশক্তি রপ্তানি আগের মাসের তুলনায় ৩৬ শতাংশেরও বেশি কমেছে, আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশি কর্মীদের শীর্ষ গন্তব্য সৌদি আরবে কর্মী যাওয়া জানুয়ারির তুলনায় ৪২ শতাংশের বেশি কমে যাওয়ায় প্রবাসী কর্মসংস্থানে এই ধস নেমেছে। এর মূল কারণ হলো, একক ভিসাধারীদের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের বাধ্যতামূলক সত্যায়ন, যা জানুয়ারির শেষদিক থেকে কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়েছে।

শ্রমিক নিয়োগকারীরা বলেন, এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের শ্রমবাজারের অতিরিক্ত সৌদি-নির্ভরতার চিত্র স্পষ্ট করছে, কারণ অন্যান্য গন্তব্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে। তারা সতর্ক করেছেন, বাংলাদেশ যদি ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও বাহরাইনের শ্রমবাজার ফের চালু করতে না পারে, তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে।

বিএমইটির তথ্য অনুসারে, ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে ৬২ হাজার ৪৩৬ কর্মী বিদেশে গেছেন, যেখানে জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ৯৭ হাজার ৮৬২ জন। এর মধ্যে সৌদি আরব সর্বাধিক কর্মী নিয়োগ করেছে—ফেব্রুয়ারিতে ৪৪ হাজার ২৫৮ জন ও জানুয়ারিতে ৭৬ হাজার ৬১৮ জন্য।

অন্যদিকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪ হাজার ৮৩ জন বাংলাদেশি কর্মী বিদেশে গিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অভ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ-এর (বায়রা) সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন ‘রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের বাধ্যতামূলক সত্যায়ন প্রক্রিয়া কর্মী নিয়োগের গতি কমিয়ে দিয়েছে। এটাই সৌদি আরবে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কমার একটি বড় কারণ।’
বায়রা সদস্যরা বুধবার (৫ মার্চ) দূতাবাসের সত্যায়ন বাতিল ও ইমিগ্রেশন কার্ড আবেদন ম্যানুয়াল জমা দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থাসহ কয়েকটি দাবিতে বিএমইটিতে বিক্ষোভ করেন ।

তিনি আরও বলেন, ‘এই অনুমোদন পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয়। কর্মীরা যদি গন্তব্য দেশে কোনো সমস্যায় পড়েন, দূতাবাস কোনো দায়িত্ব নেয় না। সব দায়ভার এজেন্সিগুলোকেই নিতে হয়।’

দূতাবাসের অনুমোদন প্রক্রিয়া বাতিল ও অভিবাসন কার্ড আবেদন ম্যানুয়ালি জমা দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন দাবিতে বায়রার সদস্যরা বুধবার (৫ মার্চ) বিএমইটিতে বিক্ষোভ করেছেন।

পরে তারা বিএমইটি মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইস্যু হওয়া সৌদি আরবের একক ভিসার বিএমইটি অনুমোদন আগের নিয়ম অনুযায়ী দূতাবাসের সত্যায়ন ছাড়াই দেওয়া হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Categories

                       © All rights reserved 2025 দৈনিক বাংলার গৌরব