নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রথমবারের মতো মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন আহসান এইচ মনসুর। পট পরিবর্তন হলেও সেই পুরনো চ্যালেঞ্জগুলোই মুদ্রানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছে মুদ্রানীতিতে।
মুদ্রানীতি যেসব চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো- মুদ্রাস্ফীতিকে আরও কমিয়ে আনা, বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পুনর্গঠন বজায় রাখা ও ব্যাংক খাতের আস্থা ফিরিয়ে আনা।
এছাড়াও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সামষ্টিক অর্থনৈতিতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মুদ্রানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য সতর্কতা ও সক্রিয় নীতি প্রনোয়োন করা প্রয়োজন বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রেখেই চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ঋণপপ্রবাহ কমাতে দীর্ঘদিন ধরেই নীতি সুদহার বাড়িয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সর্বশেষ গত ২২ অক্টোবর দেশের মুদ্রানীতির অন্যতম টুল নীতি সুদহার (ব্যাংক রেট) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।পরবর্তীতে এটি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়। এর আগে ২০২২ সালের মে মাস নীতি সুদহার ছিল ৫ শতাংশ। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১০ বার বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার।