1. pressjonaed@gmail.com : Jonaed Mansur : Jonaed Mansur
  2. admin@banglargourab.com : banglarg :
  3. infobanglargourab@gmail.com : Rumi Jonaed : Rumi Jonaed
আড়াই কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা সিংগাইর ব্যবসায়ীদের - দৈনিক বাংলার গৌরব
১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| বৃহস্পতিবার| বিকাল ৫:১৯|

আড়াই কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা সিংগাইর ব্যবসায়ীদের

নিউজ সোর্স
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৮ টাইম ভিউ

মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা : পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ফুলচাষিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলার জয়মন্টপ, ধল্লা, শায়েস্তা ও তালেবপুর ইউনিয়নে ফুল চাষ হচ্ছে। চাষিরা ভালো ফলনের আশা করছেন। এমনিতে ফুলের বাজার বেশ ভালো। তবে বিদেশি ফুলের আমদানির কারণে তারা উদ্বিগ্ন। চলতি মাসে ফুলচাষীরা প্রায় আড়াই কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন।

সিংগাইর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে এগিয়ে যাচ্ছে সিংগাইর উপজেলা। সাভারের বিরুলিয়া কিংবা যশোরের গদখালীর মতো এখানে বড় পরিসরে গোলাপ, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা, জিপসি ও স্টারের মতো জনপ্রিয় ফুল চাষ হচ্ছে। বর্তমানে উপজেলার জয়মন্টপ, ধল্লা, শায়েস্তা ও তালেবপুর ইউনিয়নের আট থেকে ১০ গ্রামে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে ১৬ হেক্টর জমিতে গোলাপ ফুলের চাষ হয়েছে। বাকি চার হেক্টর জমিতে গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা, জিপসি ও স্টারের মতো ফুল রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফুল চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ ফুল সংগ্রহ করে তা দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠানোয় ব্যস্ত আছেন।

ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাবুল হোসেন সিংগাইরের অন্যতম সফল ফুলচাষি। ১৮ বছর আগে মাত্র দুই বিঘা জমিতে ফুল চাষ শুরু করেছিলেন তিনি। এখন তার ফুলের খেতের পরিমাণ ২৫ বিঘা। বাবুল বলেন, ‘এই মৌসুমে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। তাই আমরা আরও বেশি শ্রম দিয়ে ফুলের যত্ন নিচ্ছি। এবার ফলন ভালো হয়েছে। বাজারও ভালো। আশা করছি, লাভবান হব।’

বাবুলের মতো আরও ২০-২৫ জন কৃষক বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করছেন। জয়মন্টপ, ধল্লা, শায়েস্তা ও তালেবপুর ইউনিয়নে ফুল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জয়মন্টপের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি সাত বছর ধরে তিন বিঘা জায়গায় চায়না গোলাপ ফুল চাষ করছি। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ফুলের ফলন ভালো হয়েছে। এখন প্রতি পিস গোলাপ বিক্রি করছি ৩০ টাকায়, আর ক্যাপ পরানো গোলাপ বিক্রি করছি ৪৫-৫০ টাকায়।’

ফোর্ডনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের তরুণ চাষি সবুজুর রহমান বলেন, ‘আমি ৫২ শতাংশ জায়গায় সাদা ও হলুদ জাতের চন্দ্রমল্লিকা ফুলের আবাদ করেছি। এসব গাছের বীজ ভারত থেকে আনতে হয়। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। বাজার ঠিক থাকলে খরচ বাদ দিয়ে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে।’

একই গ্রামের ফুলচাষি তুহিন বলেন, ‘দেড় বিঘা জায়গায় জিপসি ফুলের আবাদ করেছি। ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই খেত থেকে ৩০-৪০ হাজার টাকা লাভ হবে। আমাদের ফুল ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি হয়।’

তবে চাষিদের একটি উদ্বেগ রয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা ফুলের কারণে স্থানীয় বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়। জয়মন্টপের কানাইনগর গ্রামের আনোয়ার বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসের এই তিনটি দিবসে সবচেয়ে বেশি ফুল কেনাবেচা হয়। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, ভারত ও চায়না থেকে যেন কোনো ফুল আমদানি না হয়। যদি আমদানি না হয়, তাহলে আমরা লাভবান হব।’

সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, ‘অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ফুল চাষ এখানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাজধানীর কাছে হওয়ায় পরিবহন খরচ কম। বাজারজাতকরণ সহজ হওয়ায় চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই আড়াই কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করা হচ্ছে।’

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Categories

                       © All rights reserved 2025 দৈনিক বাংলার গৌরব