1. pressjonaed@gmail.com : Jonaed Mansur : Jonaed Mansur
  2. admin@banglargourab.com : banglarg :
  3. infobanglargourab@gmail.com : Rumi Jonaed : Rumi Jonaed
ঢাকার নবাব ওয়াকফ এস্টেট ও আইনুদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন জমা - দৈনিক বাংলার গৌরব
১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| বৃহস্পতিবার| বিকাল ৫:০৭|

ঢাকার নবাব ওয়াকফ এস্টেট ও আইনুদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৩৪ টাইম ভিউ

সিনিয়র রিপোর্টার  : পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সম্প্রতি ঢাকার নবাব ওয়াকফ এস্টেট ও আইনুদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা ওয়াকফ সম্পত্তি সংক্রান্ত জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে খাজা ইকবাল আহসান উল্ল্যাহ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলাটির বাদী, আইনুদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেছা ওয়াকফ এস্টেটের ওয়াকফা প্রশাসকের অফিসিয়াল মোতওয়াল্লী আবুল কালাম আনসারী, অভিযোগ করেন যে খাজা ইকবাল আহসান উল্ল্যাহ ভুয়া নবাব পরিচয়ে ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রি ও লীজ দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও, তিনি সুপ্রীম কোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে সম্পত্তি লেনদেন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে যে, খাজা ইকবাল আহসান উল্ল্যাহ নিজেকে ঢাকার নবাব পরিবারের বংশধর হিসেবে দাবি করলেও তিনি প্রকৃতপক্ষে নবাব পরিবারের সদস্য নন। তিনি জাল ওয়ারিশন ডকুমেন্টস তৈরি করে আদালতে জমা দিয়েছেন এবং ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রি ও লীজ দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের জন্য তিনি আল-মারজান বিল্ডার্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেছেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের জন্য পাঠায়। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে অভিযুক্তরা সুপ্রীম কোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় সম্পত্তি লিজ দেয়ার নামে লেনদেন করেছেন। আদালতকে সুপারিশ করা হয়েছে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯, ৫০৫ ও ৩৪ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের।

তদন্তকালে বাদী ও নিরপেক্ষ সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওয়াকফনামা, তলিয়ৎনামা ও আদালতের রায়ের কপি পর্যালোচনা করে নিশ্চিত করা হয়েছে যে অভিযুক্তরা জাল দলিল তৈরি করে প্রতারণা করেছেন।

তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দিতে পারে। পাশাপাশি জালিয়াতি, প্রতারণা ও অবৈধ সম্পত্তি লেনদেনের অভিযোগে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

এই মামলাটি ঢাকার নবাব ওয়াকফ এস্টেট ও আইনুদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা ওয়াকফ সম্পত্তি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের জটিলতা ও বিতর্কের নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অভিযোগগুলি প্রমাণিত হলে এটি দেশের অন্যতম বড় প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলা হিসেবে রেকর্ডে স্থান পাবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Categories

                       © All rights reserved 2025 দৈনিক বাংলার গৌরব