1. pressjonaed@gmail.com : Jonaed Mansur : Jonaed Mansur
  2. admin@banglargourab.com : banglarg :
  3. infobanglargourab@gmail.com : Rumi Jonaed : Rumi Jonaed
মসুর ডাল চাষে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা - দৈনিক বাংলার গৌরব
১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| বৃহস্পতিবার| বিকাল ৪:৫৮|

মসুর ডাল চাষে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

নিউজ সোর্স
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ১২ টাইম ভিউ

মেহেদী হাসান, প্রতিনিধি, রাজবাড়ী : ৬৫ বছর বয়সী কৃষক গফুর কাজী। রাজবাড়ী জেলার শহীদওহাবপুর গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ে একজন আদর্শ কৃষক। চলতি মৌসুমে নিজের ৫ বিঘা জমিতে করেছেন উচ্চফলনশীল বারি মসুর- ৮ এর আবাদ।

গফুর কাজীর মত জেলার প্রায় ৭ হাজার কৃষক অনান্য ফসলের সাথে মসুর ডালের আবাদ করেছেন।

রাজবাড়ী জেলার মাটি অধিক উর্ব্বর হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্প পরিশ্রমে কম সেচ,সার লাগায় ধান,গম,পাটের চেয়ে বারি মসুর- ৮ আবাদে মিলছে অধিক সুফল। খরচের তুলনায় ৩ গুণ লাভে পরিবারের আর্থিক উন্নয়ন হচ্ছে প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীদের।

রাজবাড়ী কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে রাজবাড়ী জেলার ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি মসুর- ৮ আবাদ হয়েছে। বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১২ মণ মসুর ডাল উৎপাদের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

গত বছর রাজবাড়ী জেলায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মসুর ডাল উৎপাদন হয়েছিলো ৪ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টণ। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।

সরেজমিনে শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের ফসলী মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মসুর ডালের ক্ষেতে পরিচর্যার কাজ করছেন কয়েকজন কৃষক।

এ সময় কৃষক গফুর কাজী বলেন, আগে দেশি জাত চাষ করতাম। বিঘায় ফলন হতো ৩ থেকে ৪ মণ। এ বছর ৫ বিঘা জমিতে বারি মুসুর-৮ চাষ করেছি। বারি জাতের ফলন বিঘায় ৮ থেকে ১০ মণ। আমাদের যে টাকা উৎপাদনে খরচ হয় তার ৩ গুণ আয় হয়। বাজারে মসুরের চাহিদা অনেক বেশি। তাছাড়া দামও তুলনামূলকভাবে ভালো এজন্য মুসুর চাষে চাষিদের আগ্রহ একটু বেশিই দেখা যায়। এ বছর আবহওয়া মুটামুটি ভালো থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। সেই সাথে দামও ভালো পাবো বলে আশা করি।

কৃষাণী মমতাজ বেগম বলেন, পুরুষের পাশাপাশি আমরা মহিলারাও মসুর ডালের খেতে সার প্রয়োগ,সেচ,আগাছা পরিস্কার সহ নানাবিধ কাজ করি। মসুর ডাল উৎপাদন করে পরিবারের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করি। এতে সংসারে আগের চেয়ে স্বচ্ছলতা বেড়েছে।

আরেক চাষি রফিক খান পাটোয়ারী বলেন, আমি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত কৃষি কাজ করি। আগে দেশি জাতের মসুর আবাদ করে ভালো ফসল হতো না। এখন বারি জাতের মসুর ৮ আবাদ করে ফলন বিঘায় ৮ থেকে ১০ মণ। আমাদের যে টাকা উৎপাদনে খরচ হয় তার ৩ গুণ আয় হয়। মসুর আবাদে আমরা কৃষকেরা অধিক লাভোবান।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক (ডাল) ড. মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, মসুর ডালে উচ্চ মাত্রার এটা দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা রক্তের কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দিয়ে ধমনীকে পরিষ্কার রাখে। মসুর ডাল খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে বাড়িয়ে দেয় ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ। মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে।

মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র বারি প্রকল্প পরিচালক ও পিএসও ড. সেলিম আহম্মেদ বলেন, আধুনিক জাতের বারি মসুর ৮ চাষ এবং কৃষককে নিয়মিত পরামর্শ ও প্রযুক্তির ব্যবহারবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ কারণেই মসুর ডালের আবাদ বেড়েছে। প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলন ভালো হয়েছে। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা, সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থানের, যা গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ী জেলায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বারি মসুর-৮ ডাল। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Categories

                       © All rights reserved 2025 দৈনিক বাংলার গৌরব